শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ২ ফেরিতে হুড়োহুড়িতে এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। আজ বুধবার (১২ মে) শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে শাহ পরান ও এনায়েতপুরী নামের দুইটি ফেরিতে এই দুটর্ঘনা ঘটে। এর আগে শিমুলিয়া- বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে হুড়োহুড়িতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ঘাট ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে যাত্রী বোঝাই করে শিমুলিয়া ঘাট থেকে রো রো ফেরি শাহ-পরান ছেড়ে আসে। বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাবাজার ৩ নং ফেরি ঘাটে নোঙর করে ফেরিটি। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় নামার সময় তাড়াহুড়ো করায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গণপরিবহন বন্ধ ও বিজিবি মোতায়েন করে কয়েকটি চেকপোস্ট বসিয়েও লোকজনকে এবার আটকে রাখা যায়নি। সব বাধা উপেক্ষা করেই বাঁধভাঙা স্রোতের মতো শিমুলিয়া ঘাটে ছুটছে মানুষ।
গেল কয়েকদিন ধরে ঘাটে মানুষের ভিড় অব্যাহত থাকলেও বুধবার (১২ মে) যাত্রীদের চাপ আরও বেড়েছে। সকাল থেকে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়ের কারণে পা রাখার ঠাঁই ছিল না। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যাত্রীরা নদীর স্রোতের মতো ফেরিযোগে বাড়ি ফিরছেন। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়াঘাটে বুধবার ১৫ টি ফেরি চলাচল করেছে।
এতে হাজার হাজার যাত্রী যানবাহন পারাপারে অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে দক্ষিনবঙ্গের ব্যস্ততম শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট। ফেরিতে রোগী ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স, পিকআপ, প্রাইভেটকার এবং পন্যবাহী যানবাহনের সঙ্গে কয়েক হাজার যাত্রী পার হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পরও শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী পারাপারে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন।
বুধবার ভোর থেকেই শিমুলিয়াঘাটে ছুটে আসতে থাকে ঘরমুখো যাত্রী সাধারণ। এতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ নৌরুটে হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে পন্যবাহি যানবাহন বোঝাই করে ঘাট ছেড়ে যায় একের পর এক ফেরি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) সাফায়েত আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন। ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে। এ নৌরুটে স্বাভাবিক ভাবেই ফেরি চলাচল করেছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ফেরিতে কিছুটা চাপ তো থাকবেই।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন বলেন, ঘাটে যাত্রী চাপ থাকলেও যানবাহনের তেমন কোনো চাপ তেমন নেই। ঘাটে সামান্য সংখ্যক ৩ শতাধিক পন্যবাহী যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। জরুরি পরিসেবা ছাড়া ফেরি চলাচল বন্ধ এবং রাতে পণ্যবাহীবাহী ট্রাক পারাপারের ঘোষণার পরও অনেকেই বুঝতে না পেরে ঘাটে রওনা হয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। অনেকে ফেরতও যাচ্ছেন।